আফ্রিকার বাইরে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব বিশ্ব মহামারিতে রূপ নেবে না বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে রোগটি সম্পর্কে এখনো অনেক কিছুই অজানা রয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির এক কর্মকর্তা। এনডিটিভি, রয়টার্সসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার ডব্লিউএইচওর হেলথ ইমার্জেন্সিজ প্রোগামের গুটিবসন্তবিষয়ক বিভাগের প্রধান রোসামুদ লুইস বলেন, ‘আমরা জানি না। তবে এমনটি হবে বলে আমরা মনে করছি না। এ মুহূর্তে আমরা বিশ্ব মহামারি নিয়ে উদ্বিগ্ন নই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই রোগে আক্রান্ত উপসর্গবিহীন মানুষদের কাছ থেকে ভাইরাসটি কোনোভাবে ছড়াচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে আমাদের হাতে তেমন তথ্য নেই। ফলে এভাবে মাঙ্কিপক্স ছড়াচ্ছে কিনা সেটি আমরা সত্যিই এখনো জানি না।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মাসে ৩শ’র বেশি মানুষের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হওয়া এবং এ রোগে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। এর বেশিরভাগই ঘটেছে ইউরোপের দেশগুলোতে। মাঙ্কিপক্সের এই প্রাদুর্ভাবকে ‘বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যে সম্ভাব্য জরুরি পরিস্থিতির’ (পিএইচইআইসি) নিরিখে মূল্যায়ন করা হবে কিনা তা চিন্তা-ভাবনা করে দেখছে ডব্লিউএইচও।
রোসামুদ লুইস বলেন, ডজনকয়েক দেশে যে রোগীগুলো পাওয়া গেছে তাদের বেশির ভাগই সমকামী, উভকামী বা এমন পুরুষ যারা অন্য পুরুষদের সঙ্গে যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত হয়। তাই এই বিষয়টিতে জোর দেওয়া খুবই দরকার যাতে করে বিজ্ঞানীরা বিষয়টি নিয়ে আরও গবেষণা করতে পারেন এবং যাতে ঝুঁকিতে থাকা মানুষজন সতর্কতা অবলম্বন করতে পারে।
লুইস বলেন, এটা এখনো অজানা যে, মাঙ্কিপক্স যৌনক্রিয়ার মাধ্যমে ছড়াচ্ছে নাকি যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে শুধু সংস্পর্শের মাধ্যমেই ছড়াচ্ছে। সাধারণ মানুষদের জন্য এর ঝুঁকিকে ‘নিম্ন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি।
ডব্লিউএইচও’র হিসাব মতে, গত ২৬ মে পর্যন্ত বিশ্বের ২৩ দেশে ২৫৭ জনের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। তা ছাড়া আরও ১২০ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে এখনো এ রোগে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।